অটোরিকশার জন্যই হত্যা করা হয় সাইফুল্লাহকে; প্রেসব্রিফিংয়ে জানালেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার

লেখক: নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২ years ago

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ভূট্টা ক্ষেতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মো. সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। মূলত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করার জন্য তাঁকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কথা জানানো হয়েছে। এই হত্যা মামলায় হত্যাকারিসহ অটোরিক্সা চোর চক্রের ১০ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আলোচিত সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানান জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

নিহত সাইফুল্লাহ (১৫) জেলার হরিপুর উপজেলার দামোল গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তাঁর হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ১০ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- রাণীশংকৈল উপজেলার মেহেদী হাসান (১৮), আব্দুল কাদের (৩০), সাদেকুল ইসলাম ওরফে মোজাম্মেল হক মজু (২৪), সজল (২৪), মহিরুল ইসলাম (৪০), মাহবুবু হোসেন (২০), নুর আলম ওরফে মংলা (১৯), মামুন ওরফে বোবা (১৮), মো. সোহেল রানা (১৮) ও ইমরুল কায়েস ওরফে ইমু (২৬)।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর জানান, ‘৪ মার্চ রাণীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘি এলাকায় ভুট্টাখেত থেকে প্লাস্টিকের চিকন দড়ি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সাইফুল্লাহর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ৪ মার্চ একটি ক্লু-লেস মামলা হয় রানীশংকৈল থানায়। মামলার ছায়া তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা বিভাগকে। পরে গোয়েন্দা বিভাগ রানীশংকৈল থানা ও হরিপুর থানা-পুলিশকে নিয়ে তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হরিপুর থানার ধীরগঞ্জ বাজার এলাকায় রাকিব (১৫) নামের এক ইজিবাইক চালককে প্লাস্টিকের চিকন দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মুখে রুমাল দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে তাঁর অটোরিকশা নিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। পরে রাকিবের বাবার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হিমু নামের এক ব্যক্তি ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে রাকিবকে জীবিত উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ৩০ জানুয়ারি হরিপুর থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়।

মামলা তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে, রাণীশংকৈলের অটোরিকশাচালক সাইফুল্লাহ ও হরিপুরের ইজিবাইক চালক রাকিবকে একইভাবে প্লাস্টিকের চিকন দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ভট্টাখেতে ফেলে রাখা হয়। পরে উভয় ঘটনা একই চক্রের ঘটানো বলে ধারণা থেকে রাকিবের বাবার কাছে চাঁদা দাবিকারী হিমুকে প্রথমে আটক করা হয়। এরপর বেরিয়ে আসে সাইফুল্লাহ হত্যা ও রাকিবের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের নাম। পরে গ্রেপ্তার ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে উভয় ঘটনায় তাঁরা জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন বলে জানান পুলিশ সুপার।

বিডি/ডেস্ক

  • অটোরিকশার জন্যই হত্যা করা হয় সাইফুল্লাহকে
  •    

    কপি করলে খবর আছে