জয়পুরহাটে অপরাধমূলক কাজ করায় ও জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় দুই ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের পদ থেকে কেনো চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না মর্মে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মো. শাহাদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
এর আগে গত ১৮ জুলাই একই কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মো. মুক্তার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
বুধবার রাতে জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহাদুল ইসলামকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ধামইরহাট থানার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যা তার দ্বারা সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। এ জন্য জনস্বার্থের পরিপস্থী বিবেচনায় তাকে ইউপি সদস্য পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে আক্কেলপুরের রায়কালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে রায়কালী বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বাধা প্রধান ও আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেন তাকে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রী অপহরণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা চলমান রয়েছে, যা তার দ্বারা সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে।
এ জন্য তাকে ইউপি সদস্য পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে এবং ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
বিডি/আরমান
কপি করলে খবর আছে