আ’লীগ নেতার সহায়তায় আবারও উজ্জীবিত হলো ‘মনি চত্বর’

লেখক: নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২ years ago

ঠাকুরগাঁও শহরের টাঙ্গন নদীর উপর নির্মিত জোড়া ব্রীজের মাথায় অবস্থিত শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি চত্বর।খুব স্বল্প সময়েই মনি চত্বর জেলাবাসীর নজর  কাড়ে। কেননা সেখানে দাড়িয়ে ছিলো সুবিশাল এক বৃক্ষ, আর শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি’র দৃষ্টিনন্দন প্রতিচ্ছবি।আবার সেটার চার পাশ ঘেরা ছিলো নৌকার আদলে স্টীলের বাউন্ডারি, ছিলো আলোকস্বজ্জা-যা রাতে ওই এলাকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতো কয়েকগুণ। কিন্তু সম্প্রতি এক ঝড়ে সেই গাছটি উপড়ে পড়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখানকার সৌন্দর্যে ভাটা পড়ে। সৌন্দর্য ও জৌলুস হারিয়ে ফেলে মনি চত্বর।
বিষয়টি নজরে আসে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালার। তিনি মনে মনে একটি বট গাছ খোঁজেন এবং সেটি পেয়েও যান। সদরের পল্লী বিদ্যুৎ নামক এলাকায় একটি বড় সড় বট গাছ দেখতে পান এবং সে বটগাছের মালিক মুক্তার হোসেন বাবুকে বিষয়টি জানান। ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন বাবুও তাঁর আগ্রহে সায় দেন এমনকি ১৫ ফিট উচ্চতার বটগাছটির চারপাশ কেটে রাখেন-যাতে যে কোন সময় তা উত্তোলন করা যায়।
অবশেষে গতকাল ১৫ জুন বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বটগাছটি রোপণ করা হয় শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি চত্বরে।প্রাণ ফিরে পায় মনি চত্বর।
এ সময় জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, মনি চত্বরের স্রষ্টা ও জেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ রহমান আকাশ সহ যুবলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা জানান, আমি ছাত্রলীগ করেছি, যুবলীগ করেছি এখন আওয়ামী লীগে আছি।মনি চত্বরের গাছটি ঝড়ে ভেঙ্গে পড়ায় ব্যাথিত হয়েছি, পরে মনে মনে একটি বট গাছ খুঁঝছিলাম এবং সেটি পেয়েও যাই। যা হোক বটগাছটি আপন আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে গরমের তীব্রতা থেকে সকলকে তারা ছায়াতলে ঠাঁই দেবে, পাশাপাশি মনি চত্বর আবারও তার আগের চেহারায় ফিরে আসবে-এটা ভেবেই ভালো লাগছে। শহরের এমন একটি স্থানে মনি চত্বর করায় যারা অবদান রেখেছে তাদের সাধুবাদ জানাই।
বিডি/ডেস্ক
  • বটগাছ রোপন
  • মনি চত্বর
  •    

    কপি করলে খবর আছে