ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তর মাতৃগাও গ্রামে ৬০ বিঘা জমির বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। এতে গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষক দিশেহারা হয়ে পরেছে ৷
কৃষকেরদের অভিযোগ, ওই এলাকার কৃষি জমিতে মাহিম বিক্রস নামে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে তাদের ফসল নষ্ট হয়েছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাস ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ভাটা বন্ধ ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেছে স্থানীয় কৃষকেরা।
কৃষক সুজন ইসলাম বলেন, আমরা কৃষক মানুষ৷ পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস কৃষি৷ অনেক কষ্ট করে এই জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। এখন ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসল নষ্ট হয়ে গেল। পথে বসা ছাড়া এখন আর আমাদের কিছু করার নেই৷
কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগেও আমাদের জমির ধানক্ষেতগুলো ভাল ছিল। এখন ধীরে ধীরে সবগুলো পুড়ে যাচ্ছে।পাশের মাহিম ইটভাটার গ্যাস ছাড়ার পর আজকে আমার সব শেষ হয়ে গেল। অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি কাজ করে জমিটাতে আবাদ করেছি। এখন আর কিছু রইলো না আমাদের। অনতিবিলম্বে এর ক্ষতিপূরণ চাই আমি৷
স্থানীয় মোমেনা আক্তার বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই জমিতে ধান রোপন করেছি। সব ধান ক্ষেত পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। আমাদের গাছগুলো রাস্তার বনগুলো পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন কিভাবে পরিবার চালাব এই কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছিনা৷
কৃষক ঘিনু আলী বলেন, সামনে আমার মেয়ের বিয়ে দিব৷ আমি পেশায় একজন কৃষক। কৃষি ছাড়া আর কোন আয়ের উৎস নেই আমাদের পরিবারের৷ আমাদের কথা কেউ শুনছেনা৷ কৃষকের কষ্ট দেখার মত কেউ নেই৷ কি হবে আমাদের। আমাদের সব ফসলের ক্ষেত ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাহাদুর রায় বলেন, বিষয়টি আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। ইটভাটার মালিকের সাথে কথা হয়েছে। যদি প্রমাণিত হয় ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসলের ক্ষেত পুড়ে গেছে। তাহলে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
মাহিম বিক্রসের ম্যানেজার রাজু বলেন, কৃষকেরা আমাদের কাছে এসেছিলেন৷ যদি কৃষি অফিস বা কৃষকেরা প্রমাণ করতে পারেন আমাদের ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসলের ক্ষেত পুড়ে গেছে৷ তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব৷
বিডি/ডেস্ক
কপি করলে খবর আছে