গম কেটে নেওয়ার পর জমিতে পড়ে থাকা অবশিষ্ট ডাটা জৈব সার তৈরির জন্য আগুন দিয়েছিলেন কৃষক কলিমুদ্দিন। চৈত্র মাসের প্রখর রোদ ও বাতাসে সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের গম খেতে। এতে এক কৃষকের প্রায় ৮ বিঘা জমির গম ক্ষেত পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কামাত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গম ক্ষেতের পাশাপাশি ভুট্টা খেতেরও ক্ষতি করেছে ওই আগুন।
প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য আবু সালেহ বাবলু বলেন, গম কেটে নেওয়ার পর ওই জমিতে ধান ক্ষেত রোপণের জন্য গমের উচ্ছিষ্ট ডাটাতে আগুন দিয়েছিল পাশের গ্রাম কাদিহাট এলাকার কৃষক কলিমুদ্দিন।
কিন্তু সেই আগুনের লেলিহান শিখা পাশের গম ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে। মাঠে থাকা লোকজন চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করলেও সাবলু নামের এক কৃষকের ৮ বিঘা জমি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় তার তিন লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সেই কৃষক পরিবারের।
ক্ষতিগ্রস্ত গমচাষি সাবুল হক বলেন, ‘অনেক আশা করেছিলাম গম কেটে বিক্রি করে ঈদে ছেলে মেয়েদের কাপড়-চোপড় কিনে দেব। কিন্তু আগুন সব ধ্বংস করে দিল। কলিমুদ্দিনের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চেয়েছি। ক্ষতিপূরণ না দিলে মামলা করব।’
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে কৃষক সাবুলকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এই গরমে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। অসচেতনতার কারণেই আগুনে কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। যত্রতত্র এভাবে আগুন দেওয়া বন্ধে স্থানীয় কৃষি অফিস ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গম ক্ষেতের উচ্ছিষ্ট ডাটাতে আগুন দিলে পাশের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা যেন কৃষকেরা না করে সে ব্যাপারে আমরা কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি।’
ডেস্ক/বিডি/আকাশ
আগুনে পুড়ল কৃষকের স্বপ্ন