জয়পুরহাটে জেলা আ’লীগের কোন্দল, পুলিশি নিরাপত্তায় মিটিং !

লেখক: আহসান হাবীব আরমান, জয়পুরহাট
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি’র বিরুদ্ধে অশোভনীয় বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হবে বলে গোপন সুত্রে জানা গেছে।

দলীয় কোন্দল, টান টান উত্তেজনা ও পুলিশি নিরাপত্তার চাদরে পূর্বনির্ধারিত জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেটের সভাপতিত্বে রবিবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের আশপাশের প্রায় এক শ দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সভা কেন্দ্র করে শহর জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্বনির্ধারিত নেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জয়পুরহাট মহকুমার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহাতাব আলী মন্ডলের স্মরণসভাসহ সাংগঠনিক অন্যান্য বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো জানা যায়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল-মাহমুদ স্বপনের বিরুদ্ধে জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর গত ১১ মে জয়পুরহাট পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে ‘অশালীন ও কুুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্য দেন। যার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। জেলা আওয়ামী লীগের কাছে এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন উপজেলার নেতারা।

হুইপ স্বপনের বিরুদ্ধে ‘অশালীন বক্তব্য’র জন্য জেলাজুড়ে রাজনৈতিক গ্রুপিং প্রকাশ্যে সামনে আসে। রবিবারের সভাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক শ নেতাকর্মীরা সমবেত হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের চারদিকে পুলিশ ও বিভিন্ন দপ্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার চাদরে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবশরের পক্ষে-বিপক্ষে শোকজ ও বহিষ্কারের দাবি তোলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১-আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. শামসুল আলম দুদু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, সহসভাপতি এস এম সোলায়মান আলী, অ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি, অ্যাড. মোমিন আহমেদ চৌধুরী জিপি, রাজা চৌধুরী, জাইদুল ইসলাম বেনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মীর রেজাউল করিম, গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর , পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সহ জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসাঈন বলেন, পুলিশের সব পর্যায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিল, নিরাপত্তা স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট বলেন, ‘যুগ্ম সম্পাদক অবসরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানান হবে। কেন এত পুলিশ এসেছিল বিষয়টি আমার জানা নেই। শান্তিপূর্ণ সভা করে আমি চলে আসলাম। ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব।

বিডি/আরমান

     

কপি করলে খবর আছে