ঠাকুরগাঁওয়ে ৪০ বছেরর ভোগদলীয় জমিতে অন্যায়ভাবে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে বসতভিটায় হামলা, ঘরবাড়ী ভাংচুর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক অবাঙ্গালি পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি পরিবারের মেয়ে কানিজা আক্তার কলি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার পিতা মো: কুদ্রত আলীর পূর্বসূরীরা স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ব হতে এখানে বসবাস করে আসছেন।স্বাধীনতা যুদ্ধে পূর্বপুরুষেরা মৃত্যুবরণ করলে তখন থেকে ঠাকুরগাঁও শহরের নিশ্চিন্তপুর মৌজার জেএল নং-১১১, খতিয়ান নং-৪২৯, দাগ নং-৪৫৬ এর ৫২ শতকের মধ্যে ৪ শতকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। পরবর্তীকালে তারা জানতে পারেন এটি সরকারের ত্রাণের সম্পত্তি।
কানিজা আক্তার কলি আরও জানান, এই পৃথিবীর কোথাও তাদের মাথা গোজানোর মতো এক চিলতে জমি নেই। সম্প্রতি তাদের পাশের জমির মালিক এ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার সরকারের ত্রানের জমিটি নিজের দাবি করে এবং তাদের হয়রানি করতে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে।এমনকি এ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার তাদের ভাড়াটিয়া উল্লেখ করে তার বাবা কুদ্রত আলী নাম স্বাক্ষর করতে না জানলেও তার স্বাক্ষর সম্বলিত একটি ভূয়া স্ট্যাম্প তৈরী করে। শুধু তাই নয়, গত ২৮ মার্চ ভাড়াটে সন্ত্রাস বাহিনী এনে তাদের বসতভিটায় হামলা চালিয়ে বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে। এঘটনার পর থেকে তার বাবা ও মা আতঙ্কিত হয়ে বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় দিনযাপন করছেন।
কলি আরও অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ভোগ দখলীয় জমিটি নিশ্চিন্তপুর মৌজার জেএল নং-১১১, খতিয়ান নং-৪২৯, দাগ নং-৪৫৬ হলেও এ্যাডভোকেট মাহামুদা আক্তার তার দায়েরকৃত সিআর ১৮৯/২২ মামলায় জমির দাগ উল্লেখ করেন ৪৫৮ এবং খতিয়ান নম্বর উল্লেখ করেন ১০৭৩৪। এতেই প্রমাণিত হয় তিনি অবৈধভাবে তাদের উচ্ছেদের জন্য এসব মিথ্যা মামলা ও হয়রানি করছেন।
তাদের পরিবারের এমন অবস্থায় তিনি সরকারের কাছে নিজেদের বেঁচে থাকার অধিকার ও ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
বিডি/ডেস্ক
অবাঙ্গালির বাড়ী উচ্ছেদ ভাড়াটে সন্ত্রাসী