ঠাকুরগাঁওয়ে শরিফুল ইসলাম (৩৯) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার (৬ মে) দুপুরে পৌর শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকার আমাদের হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামছুজ্জামান আসিফ তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।
গ্রেফতারকৃত ভুয়া চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম নিজেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বেলঘরিয়া থানার নন্দনপুর আমতলা গ্রামের আমির শেখের ছেলে বলে তথ্য দেয়। তবে তাৎক্ষনিক তার দেওয়া ভারতের ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব না হলেও তার কথা-বার্তায় ধারনা করা হচ্ছে শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার অধিবাসী হতে পারে।
আরও পড়ুন : ওসি’র বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতাকে থানা হেফাজতে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ!
জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ ঠাকুরগাঁওয়ের আমাদের হাসপাতালে জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ব্রেইন স্পাইন নার্ভ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন তিনি। ওই ভুয়া চিকিৎসক তার নেমপ্লেটে ভারতের রাজীব গান্ধী স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেছেন বলে উল্লেখ করেন। সেখানে নাম কিছুটা পাল্টিয়ে ডা: শারিফুল ইসলাম উল্লেখ করে প্রতারণা করে আসছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামছুজ্জামান আসিফের নেতৃত্বে ঠাকুরগাঁও আনসার ব্যাটালিয়ন-১, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের পরে তাকে আটক করেন।
মেডিকেল অফিসার ইফতেখারুল ইসলাম জানান, আটকৃত ব্যক্তির সকল সনদ ভুয়া। তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। আটকৃত ভুয়া ডাক্তারের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তার এসএসসি ও এইচএসসি সনদ ভিন্ন নামে রেজিষ্ট্রেশন করা। তাকে ২ বছরের জেল ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে বিষয়টিকে গুরুত্বপুর্ণ বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয়রা, শুধুমাত্র ব্যক্তিকে নয়, প্রতিষ্ঠান মালিককেও আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
ডেস্ক/বিডি
কপি করলে খবর আছে