ঠাকুরগাঁওয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে জিংক ধানের মাঠ দিবস পালিত

লেখক: নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ঠাকুরগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে কৃষাণ-কৃষাণীদের নিয়ে জিংক ধানের মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় পৌরসভাধীন গোবিন্দনগর নামক এলাকায় জিংক ধান রোপনকারি কৃষাণী মোছা. খাদিজা বেগমের ৮ কাঠা জমির পরিপক্ক ধান কর্তনের মধ্য দিয়ে এ মাঠ দিবস পালন করা হয়।

কৃষক মাঠ দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: সিরাজুল ইসলাম।

‘ভাতের সাথেই মিলবে পুষ্টি উপাদান জিংক’ শ্লোগানে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-১০০ (বঙ্গবন্ধু) জাত প্রদর্শনীর মাঠ দিবসে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ঠাকুরগাঁও এপি ম্যানেজার নরেশ মারান্ডির সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কৃষ্ণ রায়, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর নীলফামারী এসিও’র টেকনিকেল স্পেশালিস্ট (লাভলিহুড) সৈয়দ সাগির আহম্মেদ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ঠাকুরগাঁও এপি’র প্রোগ্রাম অফিসার ব্যাটাল সরকার,পারুল বেগম প্রমুখ।

আরও পড়ুন : ঠাকুরগাঁওয়ে ভূট্টা ক্ষেত থেকে মাদ্রাসাছাত্রের গলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আটক-১

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে কৃষাণী খাদিজা বেগম তার রোপণকৃত জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-১০০ (বঙ্গবন্ধু) রোপন প্রক্রিয়া এবং পরিচর্যা বিষয়ে উপস্থিত কৃষকদের অবহিত করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, জিংক সমৃদ্ধ ধান ব্রি ধান-১০০ (বঙ্গবন্ধু) জাতের ধানে প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে এবং এটির ফলনও অনেক ভালো। এছাড়া জিংক সমৃদ্ধ অন্যান্য জাতের ধান আবাদে ব্লাস্ট রোগের ভয় থাকলেও এই জাতের ধানে কোন রকমের রোগ-বালাই আক্রমণের সম্ভাবনা অনেকাংশে কম।

তিনি আরও বলেন, একজন পুরুষ ব্যক্তির দৈনিক ১১ মিলিগ্রাম এবং একজন নারী দৈনিক ৯ মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন থাকলেও গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে আমরা সর্বোচ্চ ৪-৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পেয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে এই জিংক সমৃদ্ধ ধান যদি আমরা চাল করে প্রতিদিন খাই তবে, আমাদের শরীরের জিংকের ঘাটতি কমে আসবে এবং আমরা বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ থেকে নি:স্কৃতি পাবো।

ডেস্ক/বিডি

  • ওয়ার্ল্ড ভিশন
  • জিংক ধান
  • মাঠ দিবস
  •    

    কপি করলে খবর আছে