কোল্ড স্টোরেজে আলুর বস্তার অতিরিক্ত ভাড়ার প্রতিবাদে ও ন্যায্য ভাড়ার দাবিতে ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসুচি পালন করেছে ঠাকুরগাঁও আলু চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (০৬ জুন) দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর ঘেরাও করে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসুচি পালন করেন তারা।
পরে ঠাকুরগাঁও জেলার আলু সংরক্ষণের কোল্ড স্টোরেজগুলোতে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণের জন্য ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন এঁর সুপারিশকৃত একটি দরখাস্ত জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করেন আলু চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এসময় আলু চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি বিধান চন্দ্র দাস, ডেইলী স্টার প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম রুবায়েত, প্রথম আলো প্রতনিধি মজিবর রহমান খান সহ জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসি অফিস ঘেরাও কর্মসুচি পালন কালে বক্তারা জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার আলু সংরক্ষণের কোল্ড স্টোরেজগুলোর মালিকগণ সিন্ডিকেট করে অনৈতিকভাবে সারা বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করে অত্র এলাকার আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের সাথে অন্যায়-অবিচার করছেন। এতে করে আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতি সাধিত হবে।
তারা বলেন, দেশের রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী ও মুন্সিগঞ্জের কোল্ড স্টোরেজগুলোতে ২১০-২২০ টাকা বস্তায় আলু সংরক্ষণ করা হলেও এখানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।বার বার আমরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানালেও এর কোনো প্রতিকার আমরা পাচ্ছি না। অবিলম্বে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ করা না হলে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাজ্জাক স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আলুর বস্তা পঁচে যাওয়ায় রাতারাতি বস্তাগুলো পার্শ্ববর্তী জায়গায় গর্ত করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেন আলু চাষিরা। তারা জানান, আলুর বস্তাগুলো বের করার সময় হয়তো আলুর বস্তা ফেরৎ দিতে টালবাহানা বা ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করতে পারেন মালিকপক্ষ।তাই এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গত ২৯ মে জেলা প্রশাসক বরাবর আরও একটি আবেদন পত্র দাখিল করেছেন আলু চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতারা।
ভিডিওটি দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন :
বিডি/ডেস্ক
কপি করলে খবর আছে