ঠাকুরগাঁওয়ে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগের পর ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে তা মিমাংসা হয়েছে। লিখিত মুচলেকায় হামলা ও হুমকির শিকার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ার সংবাদকর্মী আপেল মাহমুদের সাথে মীমাংসা করেছেন আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হুমায়ূন কবির বিপ্লব।
রবিবার (২৮ আগষ্ট) দুপুরে আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক নেতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যান রোমান বাদশার বাসভবনে বিষয়টির সমাধান করা হয়।
সাংবাদিক আপেল মাহমুদ ও আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হুমায়ূন কবির বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিমাংসা বৈঠকে ইউপি চেয়ারম্যান রোমান বাদশা ছাড়াও ঠাকুরগাঁও অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি বিধান চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু, জেলা যুবলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলা২৪ ভয়েস ডট কম এর সহ-বার্তা সম্পাদক অরুন শংকর চক্রবর্তী, আখানগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো: এরশাদুল হক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই দুপুরে আখানগর ইউনিয়নের ভেলার হাট হাই স্কুলে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলা ও হুমকির শিকার হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক আপেল মাহমুদ। এ নিয়ে প্রথম আলো, কালের কন্ঠসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আপেল মাহমুদ দৈনিক নয়া দিগন্ত ও স্থানীয় দৈনিক ঠাকুরগাঁওয়ের খবর পত্রিকার রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।
আপেল মাহমুদ জানান, শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছবি তুলতে গেলে মোবাইল ফোন কেরে নেন এবং হুমকি-ধামকি দেন আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য হুমায়ূন কবির বিপ্লব। তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এরূপ ঘটনার পূণরাবৃত্তি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এ নিয়ে আর কোনও তিক্ততা নেই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বিপ্লব জানান, সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় আমি ভীষণভাবে অনুতপ্ত।রাগের মাথায় এমনটা ঘটেছে। ভবিষ্যতে আর যাতে এইরকম ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল থাকবে। এছাড়াও চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতাদের উপস্থিতিতে ঘটনার পূণরাবৃত্তি না করার লিখিত অঙ্গীকারও দিয়েছি।
আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোমান বাদশা জানান, সাংবাদিক ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যাটির সুরাহা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেন এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ওই ইউপি সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি বিধান চন্দ্র দাস জানান, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া ও হুমকি-ধামকি প্রদর্শনের বিষয়টি একটি ঘৃণিত অপরাধ।ইউপি সদস্য বিপ্লব একটু দেরিতে হলেও বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন এটা অবশ্যই ভালো দিক।ইউপি চেয়ারম্যান রোমান বাদশা’র মধ্যস্ততায় বিষয়টি সুষ্ঠ সমাধান হয়েছে।তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যদি আরও বেশি সচেতন ও আন্তরিক হন তাহলে হয়তোবা এধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো আর ঘটবে না।
বিডি/আপেল
কপি করলে খবর আছে