ব্যাংক থেকে লোন গ্রহন করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসলেও সেই জমিটির মালিকানা দাবি করে রাতের আঁধারে সীমানা ঘেড়া-বেড়াসহ জমিতে থাকা ঘরবাড়ী ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এসময় ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ দেখে পালিয়ে যায় হামলাকারিরা।
ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও পৌরসভাধীন নিশ্চিন্তপুর নামক এলাকায়। গত ১২ ফেব্রুয়ারী রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জমির প্রকৃত মালিক দুলাল হোসেনের স্ত্রী কামরুন্নাহার আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা যায়, নিশ্চিন্তপুর এলাকার মো: রহিম উদ্দিনের ছেলে মো: দুলাল হোসেন জেএল নং ১১১, নিশ্চিন্তপুর মৌজার জমির রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশগণের কাছ থেকে ২৬৭৮ দাগের ১.৮৩ একর হতে ৩৩ শতক ও ২৬৭৯ দাগের ৬৭ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ১১ শতক দুই দাগে মোট সাড়ে ৪৪ শতক জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এমনকি এই জমির কাগজপত্র দেখিয়ে ইতিমধ্যে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে গত ২০১৯ সালে লোন গ্রহন করেন। বর্তমানে দুলাল হোসেনের শারীরিক অসুস্থতার সুযোগে উক্ত জমির রেকর্ডীয় মালিকের আব্দুল আলী, ইউনুস আলী, মো: আলমগীর, মো: মোজাহারুলসহ অন্য শরিকেরা তার জমিটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন। ইতিমধ্যে এই জমির সমস্যা নিরসনে একাধিকবার থানায় বসা হলেও এর সুষ্ঠু সমাধান হয়নি।
জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আব্দুল আলী গংদের মধ্যে মো: আলমগীর বাদী হয়ে কোর্টে একটি মামলা করলেও সে মামলা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: জিয়ারুল ইসলাম।
এদিকে শারীরিক অসুস্থতা ও জমিতে ও স্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় আতঙ্কে দিন পার করছেন দুলাল হোসেন এর পরিবার। জমির ন্যায্য মালিকানা থাকা সত্বেও তার দখলীয় জমিতে হামলা ও স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি।
বিডি/ডেস্ক
কপি করলে খবর আছে