নাম তার মো: আবুল হাসেম ভেন্ডারী। ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ে করে যৌতুকের টাকা গ্রহন করে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় যার নেশা, সেই বিয়েপাগল ভেন্ডারী অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। কৌশলে তিনি বিভিন্ন প্রলোভনে নারীদের বিয়ে করে যৌতুকের টাকা গ্রহন করে। পরে টাকা পাওয়ার পরপরই তালাক দিয়ে দেন। এমন করে প্রায় ১০-১২ টি বিয়ে করেছেন তিনি।
মো: আবুল হাসেম ভেন্ডারী (৫৭) সদর উপজেলার কুমারপুর (ভুল্লি) গ্রামের মৃত উসমান আলীর ছেলে।
একই জাতীয় অপরাধের জন্য সৈয়দা বেগম (৩৫) নামে এক মহিলা সদর থানায় ১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে ভেন্ডারী আটকের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই নারী স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে বাপের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর আবুল হাসেম ভেন্ডারী ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পৌর শহরের তেলীপাড়ায় কাজী অফিসে নিয়ে এসে উভয়ের সম্মতিক্রমে বিয়ে করেন। পরদিন ওই নারীকে নিয়ে সদর উপজেলার বালিয়া ইউপির সামনে ভেন্ডারীর বাড়িতে নিয়ে যায়। ভেন্ডারী বাড়িতে প্রবেশের আগেই ওই নারীর কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
ওই নারী স্বামী পরিত্যাক্তা ও গরীব উল্লেখ করলে ভেন্ডারী তাকে বাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে বেধরক মারপিট করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ভেন্ডারী বাড়ির মেইন গেট লাগিয়ে দেন।
পরে এলাকাবাসী জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে ভেন্ডারীকে গ্রেফতার করে।
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন।
বিডি/আউয়াল
কপি করলে খবর আছে