হঠাৎ ঘরের মেঝে ভিজে গেছে। মেঝেতে জমছে পানির ফোঁটা। দেখলে মনে হবে এই মাত্র পানি ফেলা হয়েছে ঘরের মেঝে পরিস্কারের উদ্দেশ্যে। কিন্তু বিষয়টি আসলে তা নয়।
মূলত ভ্যাপসা গরমে স্যাঁতস্যাঁতে এমন অবস্থা হয়েছে ঠাকুরগাঁও সদরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ঘরের মেঝের।
এ নিয়ে উৎকণ্ঠা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। কেউ বলছেন, আগেও মেঝে ঘামতো সেটা চলমান বিষয় কিন্তু এইবারে তো মেঝে পানিতে একদম ভিজেই গেছে। আবার কারো কারো ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনে এমনটা হতে পারে।
বৈশাখের দিনে আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা আর শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। অসহ্য গরমে সড়ক, মাঠ বা প্রান্তর যেমন খাঁ খাঁ করছে তেমনি ঘরের মেঝের ভিজে ওঠা, পানি জমা আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের লক্ষণ।
জানা যায়, সোমবার (১১ এপ্রিল) থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। এতে ঘরে-বাইরে চলছে চরম অস্বস্তিকর পরিবেশ। তপ্ত আগুনের হল্কায় মাথার তালু যেমনি গরম হচ্ছে ঠিক তেমনি ঘরের মেঝেও ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়ছে।
ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়া মিশন রেলগেট মোড় এলাকার এক গৃহিণী জানান, এমনিতেই রমজানে রোজা তার উপর ভ্যাপসা গরমে কান্ত-কাতর হয়ে পড়ছেন মানুষজন। সামান্য কাজ করেই মানুষজন হাঁপিয়ে উঠছেন। পাশাপাশি ঘরের মেঝে একেবারেই ভিজে গেছে। তাছাড়া কয়েকবার হয়েছে শিলাবৃষ্টি। এতে বড় রকমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ঘরের মেঝে ভিজে যাওয়ায় উৎকন্ঠা প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আশিস পাউল। লিখেছেন, আজ সকাল থেকে বাড়ীর ফ্লোর এই ভাবে ঘেমে যাচ্ছে এইটার ধর্মীয় বা বিজ্ঞান মতবাদ কি??? এ স্ট্যাটাসে হারুন রশীদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন- ধর্মীয় মতবাদ কি তা জানি না তবে সহজ মতবাদ হলো প্রচন্ড বৃষ্টিতে রোদ্র না হলে ঘরের মেঝে ভিজে যায়। অবশ্য পাকা মেঝের বেলায় এমনটা ঘটে। বাবুল আলীর মন্তব্য, আমার বাড়িতেও এই ঘটনা।
বিডি/আপেল
কপি করলে খবর আছে