মিনি কক্সবাজার খ্যাত ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লীবাঁধে এই বর্ষায় বেড়েছে দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়। বাঁধের জলরাশি আর বয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন এখানে আসেন শত শত প্রকৃতি-পিয়াসী মানুষ। এটি শুধু বর্ষাকালে পানিতে টইটম্বুর থাকে এবং গড়ে ওঠে একটি মৌসুমী পর্যটন এলাকা। তাই বর্ষাকালে অনেকে ভালোবেসে এ বাঁধকে ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে ডাকেন।
তবে বাঁধে যাওয়ার রাস্তা সংস্কার ও নিরাপদ ভ্রমণের পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা যায়,আবাদি জমিতে সেচ দিতে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৯৬ সালে ভুল্লী বাঁধ নির্মাণ করে। বর্ষা মৌসুমে এ বাঁধে পানি ধরে রাখা হয়। খরার সময় ফসলের সেচ কাজে ব্যবহার করা হয়। জলধারা প্রবাহের জন্য বাঁধটিতে কয়েকটি ধাপ বা স্তর রয়েছে। এসব স্তর বেয়ে জলধারা প্রবাহের সময় চারিদিকে যে শব্দ সঞ্চার হয় তা অনেকটা সমুদ্রের গর্জনের মতই।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলা কুমারপুর বাঁধপাড়া গ্রামে অবস্থিত ভুল্লী বাঁধের পানিতে উল্লাসে মেতে উঠছে তরুণরা । নানান বয়সের অসংখ্য দর্শনার্থীরা পানিতে সাঁতার কেটে বিনোদন উপভোগ করছেন। জল ছুয়ে আসা বাতাস, আর আছরে পড়া ঢেউ মুগ্ধ করছে তাঁদের। অনেকে বাঁধের জলে গা ভিজিয়ে গোসলও সেরে নেন। সাঁতার কাটার জন্য পর্যটকেরা রীতিমতো সঙ্গে করে জামাকাপড় নিয়ে আসে।
সেলফি আর আড্ডায় ব্যস্ত শহরের হাজিপাড়া থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা সাইফুল ইসলাম জানান, এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ছুটে এসেছি এ বাঁধে। কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুন বলেন, কক্সবাজারের স্বাদ নিতে প্রতিদিন বিকেলে এখানে চলে আসি। পরিষ্কার আকাশ। ঠাণ্ডা হাওয়া। এমন পরিবেশে স্বচ্ছ বাঁধের পানি না দেখে থাকা যায় না! এখানকার নৈর্সগিক সৌর্ন্দয্যে কক্সবাজারের আমেজ অনুভব করছি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো.সামসুজ্জামান বলেন,বাঁধে ঘুরতে যাওয়া ভ্রমণ পিপাসুদের সুবিধাগুলোর দিকে আমাদের নজর রয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার ও শিশুদের জন্য রাইডার স্থাপনের বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে।
বিডি/শিশির
কপি করলে খবর আছে