দোকান ভাড়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাতের আঁধারে দোকান ভাংচুরসহ মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে এক দোকান মালিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি দোকান ভাড়াটে বিনা নোটিশে রাতের আঁধারে দোকানের মালামাল লুটপাটসহ দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সুবিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি গত ৩ জুন ঘটেছে ঠাকুরগাঁও শহরের প্রাণকেন্দ্র আশ্রমপাড়া নামক এলাকায়।
জেলা বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ভুক্তভোগি দোকান ভাড়াটে মৃত; বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদের ছেলে মো: মাহাবুব ইসলাম রিপনের দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও পৌরসভাধীন হলপাড়া এলাকার বাসিন্দা, বর্তমান ঢাকা নিবাসী মৃত: গোলাম সারোয়ার হাসান এর স্ত্রী মোছা. সাবিহা নুর চৌধুরী গত ০১.০১.২০২১ হতে ০১.০১.২০২৫ ইং তারিখ পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য বাইসাইকেল ব্যবসায়ী ‘সিয়াম ট্রেডার্সের’ সত্ত্বাধিকারী মো: মাহাবুব ইসলাম রিপনের সাথে এককালীন আট লক্ষ টাকা জামানত বাবদ বুঝে নিয়ে মাসিক সাত হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন।
চুক্তি মোতাবেক দোকান ঘরটি ছেড়ে দিতে হলে মালিক পক্ষ অন্তত ৩ মাস আগে ভাড়াটেকে নোটিশ প্রদান করবেন এবং ভাড়াটে তিন মাসের মধ্যে মালিক পক্ষকে দোকান ঘর বুঝিয়ে দিবেন। কিন্তু কোন প্রকার নোটিশ প্রদান ছাড়াই মালিক পক্ষ তথা মোছা. সাবিহা নুর চৌধুরী গত ৩ জুন রাতের আঁধারে তার দোকানে অনধিকার প্রবেশ করে দোকান ভাঙচুর করে এবং দোকানে রক্ষিত ১৫০টি গিয়ার সাইকেল ও ৬টি চার্জার বাইক চুরি করে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক কুড়ি লক্ষ টাকা। এছাড়াও দোকান ঘর ভেঙ্গে সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে ঘরের সিলিং ফ্যান, মনিটর, কারেন্টের মিটার ও ডেকারেশন করা রেক খুলে নিয়ে যায়। এতে সবকিছু মিলে তার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।
ভূক্তভোগি ভাড়াটে মাহাবুব হোসেন রিপন জানান, ঘটনার দিন আমি রাত আনুমানিক ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসা চলে যাই। পরদিন সকালে এসে দেখি আমার দোকান ভাংচুর করা এবং আমার দোকানের সব মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম চুরি-ডাকাতি হয়েছে। পরে দোকানের পার্শ্ববর্তী বাড়ীর পবিত্র মন্ডলের কাছে জানতে পারি রাতের আঁধারে দোকান মালিকের লোকজন এসব করেছে। আমি ন্যায় বিচারের স্বার্থে ক্ষতিপুরণ চেয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি। মামলা করায় আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আশা করি আদালত সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাকে ন্যায় বিচার দেবেন।
এ বিষয়ে জানতে দোকান মালিক মোছা. সাবিহা নুর চৌধুরীর মোবাইল ফোনে(সোমবার, ১৯ জুন বিকেলে) একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ঘটনার বিষয়ে মামলার স্বাক্ষী ও প্রতিবেশী পবিত্র কুমার মন্ডল জানান, গত ৩জুন মধ্যরাতে প্রচন্ড গরমে ছাদে উঠলে দেখতে পাই দোকান ঘর ভাংচুর করা হচ্ছে এবং বাইসাইকেলগুলো বাহির করা হয়েছে। আমি মনে করেছি দোকান মালিক নিজে মেরামত করছে, তাই কিছু বলিনি। পরে জানতে পারি পরিকল্পিতভাবে মালিক পক্ষ এটা করেছে।
জানা গেছে, মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে বিজ্ঞ আদালত।
ডেস্ক/বিডি
দোকান ভাড়া রাতের আঁধারে দোকান ভাংচুর