নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সময় শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
গত ১০ জুন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়ার পরে সিদ্ধান্ত হয় যে, তাকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এই সময় আজ দুপুরে শেষ হচ্ছে।
শায়রুল কবির খান বলেন, গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনায় বৈঠক করেছেন তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। ওই বৈঠকে ম্যাডামকে আরো নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কত ঘণ্টা বা কত সময় রাখা হবে- তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
রবিবার (১২ জুন) খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বিবার্তাকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত উনি শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায় উনি আশঙ্কাজনক কিংবা আশঙ্কামুক্ত- এমন কমেন্ট করার সময় এখনো হয়নি।
গত ১০ জুন গুলশানের বাসায় ফিরোজায় অসুস্থ হয়ে পড়লে বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে বেগম জিয়াকে সিসিইউতে (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) রাখা হয়েছে।
এদিকে অসুস্থ খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা দেশে নেই দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠাতে কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তবে সাময়িক মুক্তির শর্তের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।
দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন সরকারের নির্বাহী আদেশে দু্ই বছর ধরে মুক্ত থাকার মধ্যে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বহু বছর ধরে ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, ফুসফুস, কিডনি এবং চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মাঝে মধ্যেই বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। এ নিয়ে তাকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়া হয়।
বিডি/ডেস্ক
কপি করলে খবর আছে