ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের কোন রকম অনিয়ম যদি কারো চোখে পড়ে, তবে সাথে সাথে জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানোর অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক। তিনি বলেন, যেখানে যে অবস্থাতেই অনিয়ম হবে ঘটনাস্থল থেকেই আমাকে জানাবেন, আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা পাঠাবো। তিনি যদি ঘটনার সত্যতা পান-তাহলে সেই পুলিশ সদস্যকে আর তার কর্মস্থলে আসতে হবে না, তাকে সরাসরি ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হবে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে গত ১০ দিনে জেলা পুলিশ কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার, পলাতক আসামী গ্রেফতার, মোটরসাইকেল চোরের মুলহোতা আটক সহ অনলাইন জুয়ারী আটকের বিষয়ে অবগতকরণ এবং জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) লিজা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো: আসাদুজ্জামান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফিরোজ কবির, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি বিধান চন্দ্র দাস সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, গত ১০ দিনে জেলা পুলিশের উল্লেখযোগ্য সফলতার মধ্যে নিস্পত্তিকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে ২২০টি, মাদক উদ্ধার ও এ সংক্রান্তে মোট ২৯জনকে গ্রেফতার করা হয়। মাদক উদ্ধারের মধ্যে রয়েছে ৯৪৭ গ্রাম গাঁজা, ১৩৩ বোতল ফেন্সিডিল, ১৪৬ পিস ইয়াবা, ১৮৩ পিস ট্যাপেন্টাডোল ট্যাবলেট, ২ দশমিক ৫২ গ্রাম হিরোইন, ২৮লিটার চোলাইমদ। জেলা ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক মোটরযান আইনে অভিযান চালিয়ে মোট ৩১৯ টি মামলায় ৩০ লাখ ২৫ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জুয়া বন্ধে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলা সরঞ্জমাদি সহ চারজন ও অনলাইন জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার অপরাধে ৮জন সহ মোট ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।এছাড়াও পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি ১৬০ সিসি নীল রংয়ের এপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয় এবং চুরির ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত মো: মনসুর আলী (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় জেলার কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোর আব্দুর রাজ্জাককে। তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সহ অন্যান্য জেলায় ৪৩টি চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে এবং সে চোর চক্রের মূল হোতা বলে জানান পুলিশ সুপার।
ডেস্ক/বিডি
কপি করলে খবর আছে