ঠাকুরগাঁওয়ে মোতওয়াল্লীর হামলায় দুই জন আহত হয়েছে। ভেঙেছে বাড়ির বেড়া,বাথরুম। আর এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে ভুক্তভোগী জানান,ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজানে ওয়াকফ এস্টের ৬শতক জমি দখলে থাকা হাসিনুল ইসলামের নামে করে দেন ওয়াকফ প্রশাসন। কিন্তু হাসিনুলের পরিবারকে বিভিন্নভাবে ঠকিয়ে সেই জমিও দখল নিতে চান মোতওয়াল্লী আব্দুস সালাম।
শুক্রবার দুপুরে মৃত নসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম, আনারুল ইসলাম, হায়দার আলী, সহিদুল ইসলাম লাঠিসোটা, রামদা,বল্লম,ছোটা নিয়ে হাসিনুলের ছেলের বাড়ি আক্রমণ করে বাড়ির বেড়া, বাথরুম ভেঙে দেয়।এসময় হাসিনুলের ছেলে হামিদুলের স্ত্রী এগিয়ে গেলে লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর করে। তাকে বাচাতে হারেসুলের স্ত্রী রেহেনা এগিয়ে আসলে তাকেও ধারালো ছোড়া দিয়ে আঘাত করলে তার হাত কেটে যায়। পরে তারা অটোচার্জার যোগে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
আরফিনা অভিযোগ করে বলেন,তাদের এই সমস্যা চিলারং ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মিমাংসা করার জন্য শুক্রবার সাড়ে এগারোটার দিকে এসেছিলেন কিন্তু মোতওয়াল্লী কিংবা কেউ মিমাংসার জন্য আসেননি। চেয়ারম্যান চলে যাবার সাথে সাথেই অভিযুক্তরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে আরফিনা বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, এর আগে গত ২৪ অক্টোবর অভিযুক্তরা তাদের বাড়ি ভাঙতে আসে। এসময় আরফিনা বাধা দিলে উল্লেখিত অভিযুক্তরা আরফিনার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সেদিনই আরফিনার স্বামী হামিদুল ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে চিলারং ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হকের সাথে কথা বলতে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি/ডেস্ক
কপি করলে খবর আছে