ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলককে বৈশাখী মেলা প্রাঙ্গন থেকে আটক করে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে । গত মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আলাউদ্দীনের নেতৃত্বে ভুক্তভোগী অভিযোগকারীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল প্রেসক্লাব মাঠ পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি ।
এর আগে গত ১০ মে ভুক্তভোগী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও এর মাননীয় দায়রা জজ আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন-ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মো: কামাল হোসেন,পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো: লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায়, এসআই মোতালেব ও এএসআই মো: হাফিজ।
মামলার শুনানীতে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ বাদী পুলকের কাছ থেকে পুলিশের দ্বারা অমানবিক নির্যাতনের বিস্তারিত বর্ণনা শুনে ভিকটিমকে পরীক্ষান্তে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নির্যাতন সংক্রান্ত চিকিৎসার তথ্য প্রমাণাদি আদালতে জমা দেওয়ার জন্য জেলার সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সাথে দায়রা মামলা রুজু করত: ঘটনার বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জেলায় কর্মরত একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত অন্তে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন। সেই আদেশের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মো: আলাউদ্দীন।
আরও পড়ুন : স্বামী থাকেন ঢাকায়; পরকীয়া প্রেমিকের সাথে ধরা খেল গৃহবধু !
ওসি কামাল হোসেন কর্তৃক নির্যাতিত যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান পুলক জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাকে চিঠি দিয়ে তাঁর কার্যালয়ে হাজির হতে বললে আমি সেখানে হাজির হই। পরবর্তীতে তিনি আমাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং কোথায়, কিভাবে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেসব সরেজমিনে দেখেন।
পুলক আরও জানান, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ন্যায্য বিচারের আশায় আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। আশাকরি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদান করবে আদালত।
ডেস্ক/বিডি
কপি করলে খবর আছে