সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলককে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, প্রশাসনিক কারণে সদর থানার ওসি কামাল হোসেনকে রংপুর রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলে তদন্ত ওসি জিয়ারুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার ওসি কামাল হোসেনসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক। দীর্ঘ শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা ২৪ ঘন্টার মধ্যে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ওসির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা দেন এবং জেলা সিভিল সার্জনকে বাদীর সু-চিকিৎসা প্রদান সহ মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে প্রদানের আদেশ দেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় ওসি সহ ৫ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা
আদালতের দেওয়া অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন, ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন, ওসি (অপারেশন) মো. লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ হাফিজ এবং এএসআই মো. মোতালেব।
এদিকে সদর থানার ওসির প্রত্যাহারের বিষয়টি গতকাল রাত থেকেই স্যোসাল মিডিয়ায় বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ওসিকে ভৎসনা করে পোস্ট দিতে থাকে। আজ সকালে বিষয়টি ‘টক অফ দি টাউনে’ পরিণত হয়। একে অপরকে এ সংবাদ জানিয়ে বলতে থাকেন একজন অন্যায়কারি পুলিশ অফিসারের উচিত শিক্ষা দিয়েছে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। এসময় একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দেওয়ারও ঘটনা দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক ও ক্রীড়া সম্পাদক খালিদ সিরাজ রকিকে তুলে নিয়ে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। গত ২৯ এপ্রিল পুলককে থানায় নিয়ে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে ও চোখে গামছা বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে তার বাম হাত ভেঙে যায়।
ডেস্ক/বিডি
কপি করলে খবর আছে