ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া খাদ্যগুদামে নিম্নমানের চাল সংরক্ষণের অভিযোগে গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তে জেলার হরিপুর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিখিল চন্দ্র বর্মণকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৮ জুন) দুপুরে ওই তদন্ত কমিটি গুদাম খতিয়ে দেখেছেন।
পরিদর্শনের সময় তদন্ত কমিটি জানায়, রুহিয়া খাদ্যগুদামে নিম্নমানের (পুরাতন) চাল সংরক্ষণের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার গুদামের দুই নম্বর কক্ষটি সিলগালা করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ কর্মকর্তাগণ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ওই গুদামে মজুদ করা চার-শতাধিক বস্তা চাল খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি।
এ সময় গুদামে নিম্নমানের (পুরাতন) চাল সংরক্ষণের সত্যতা পায়। তবে কত বস্তা নিম্নমানের (পুরাতন) চাল গুদামে মজুদ করা হয়েছে তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করা যাবে না বলে জানায় তদন্ত কমিটি।
কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রিয়াজুল ইসলাম, টেকনিক্যাল ইন্সপেক্টর জুলফিকার আলী ও খাদ্য পরিদর্শক খলিলুর রহমান।
অভিযোগ অস্বীকার করে রুহিয়া খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, এটি নিয়মিত কাজের অংশ। গুদামে চাল নিম্নমানের আছে কিনা তা সন্দেহে সিলগালা করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটি তা পরিদর্শন করছেন। তবে চলতি মৌসুমে পুরাতন চাল কেন কিভাবে গুদামে মজুদ করা হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
পরিদর্শনের সময় স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, চলতি মৌসুমে গুদামে নতুন চাল সংরক্ষণ করার কথা থাকলেও ফায়দা লুটতে নিম্নমানের পুরাতন চাল সংগ্রহ করেছেন গুদাম কর্মকর্তা। গত ১২ মে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ আদায়ের অভিযোগে মানববন্ধন করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি এমন সুযোগ নিয়েছেন। অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান কৃষকরা।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল গুদাম পরিদর্শনে গিয়ে রুহিয়া খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল সংগ্রহের অভিযোগে গুদামটি সিলগালা করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে রুহিয়া খাদ্যগুদামে ২ হাজার ১৬৫ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ পর্যন্ত ৮৭৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করে গুদাম কর্তৃপক্ষ।
বিডি/ডেস্ক
কপি করলে খবর আছে