ছোটবেলা থেকেই গাছের সঙ্গে বেশ সংখ্যতা ছিল সিদ্দিকের। গাছ আর বাগান ছিল তার বন্ধু। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাগানে সময় পার করতেন তিনি। বয়স বাড়ার সাথে চাপ বাড়তে থাকে পড়াশোনার। করোনায় লেবুর উপকারিতা দেখে আগ্রহী হন লেবু চাষে। এক বছর আগে লেবু বাগানের কাজ শুরু করেন তিনি। বছর ঘুরতেই বাগানে ফলনে ভরে যায়। ইতিমধ্যে তার বাগান থেকে আয় হয়েছে কয়েক লাখ টাকা, বাগান করে লাখপতি বনে গেছেন তিনি।
পড়ালেখার পাশাপাশি বাগান করেও সফল হওয়া যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন সিদ্দিক। তাকে দেখে অনেকে এখন লেবু বাগান করতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের লধাবাড়ি গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক। বাড়ির পাশে ভাউলারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ম্যানেজম্যান্ট বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তিনি। বর্তমানে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।ি
আরও পড়ুন: মুখে কালো কাপড় বেঁধে ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের মৌন প্রতিবাদ
লেবু বাগান করে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন অনেক বেকার যুবকের। সিদ্দিকের লেবু বাগান করে সফল হওয়ায় সাড়া ফেলেছে জেলাজুড়ে।
বাগানে কাজ করা শ্রমিক ও এলাকাবাসি জানান, সিদ্দিক পড়াশোনার পাশাপাশি বাগান করে লাভবান হয়েছে। তার এমন সাফল্যে এলাকাবাসি অনেক খুশি। তার বাগানের লেবু দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। এছাড়াও এলাকার সবাই তার বাগান থেকে লেবু নেয়। সিদ্দিক এর বাগানে প্রতিদিন ৬/৭ জন মহিলা কর্মচারী কাজ করে তাদের পরিবার সুন্দর ভাবে চলছে।
বাগান মালিক সিদ্দিক বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি বাগান করেছি। লেবু আমার পছন্দ তাই এই বাগান করেছি। এ পর্যন্ত ৩/৪ লাখ টাকার লেবু বিক্রয় করেছি। আর এই রমজানে লেবু বিক্রয় করে লাভবান হওয়ার পথে আমি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। সিদ্দিক বর্তমান যুব সমাজের আইকন। পড়ালেখার পাশাপাশি এমন উদ্যোগে আমরা তার সাথে সবসময় আছি।
ডেস্ক/বিডি
কপি করলে খবর আছে