ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানায় দায়ের করা গণধর্ষণ মামলার আরও দুই আসামী লসকর (৩৪) ও রকিম (৩১) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।রবিবার (২১ আগষ্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় হরিপুর থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু ঈসা। এর আগে হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান(২০),চাপধা পিপলা গ্রামের করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাত(১৯) ও চাপধা গুচ্ছগ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ(১৯)কে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক ছিলো লসকর ও করিম। অবশেষে তারাও পুলিশের জালে ধরা পড়ে। এ নিয়ে আটক আসামীর সংখ্যা দাড়াল ৫ জনে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়া এলাকার ওই নারী গত শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তার সাত বছর বয়সী ছেলে মাসুমকে নিয়ে হরিপুর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় রাণীশংকৈল উপজেলার কামারপুকুর অটো স্ট্যান্ড হতে অপহরণ করা হয়। পরে অটোযোগে মা ও ছেলেকে বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের পুর্ব উত্তর পাশে আনোয়ার মাস্টারের আম বাগানের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারীরা ওই গৃহবধূর ছেলে মাসুমের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে জিম্মি করে তার মাকে বিবস্ত্র করে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করে ।
এরপর রাত ১২টার সময় ওই যুবকরা ভুক্তভোগী ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ফজলুর রহমান নামে একজনকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দেন। পরে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে।
এরপর ধর্ষক ফজলুর রহমান ও ভিকটিমের ভাষ্যমতে হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে রিসাদ ও আকাশকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে শনিবার হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
বিডি/ডেস্ক
কপি করলে খবর আছে