মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেলেন নোয়াখালী জেলার ৮৬ জন তরুণ-তরুণী।
বুধবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় নোয়াখালী জেলার ট্রেইনি রিক্রুট পুলিশ কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘুস ছাড়া চাকরি পেয়ে তারা সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসব চূড়ান্ত প্রার্থীর অভিভাবকরা কখনো বিশ্বাসই করতে পারেননি তাদের সন্তানদের টাকা ছাড়া পুলিশে চাকরি হবে। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৯ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে জেলার ৮৬ তরুণ-তরুণীকে চাকরি দেওয়া হয়। ব্যাংক ড্রাফটে ১২০ টাকা জমা দিয়ে পুলিশে প্রায় ৫০০০ তরুণ-তরুণী অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১৮৫ জন। সব শেষে স্বপ্ন এসে ধরা দেয় ১২ জন তরুণী ও ৭৪ জন তরুণের হাতে।
নিয়োগপ্রাপ্ত নোয়ান্নয়ই ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার ফারহানা উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, আমার বাবা পুলিশে চাকরি করেছেন। বাবাকে দেখে এ মহান পেশায় চাকরির আবেদন করেছি। গতবার আবেদন করে বাদ পড়ি। এবার কঠোর প্রস্তুতি নিয়ে আবেদন করি।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের আবদুল মান্নানের ছেলে বেলাল হোসেন বলেন, আমি কখনো কল্পনাই করতেই পারিনি যে ১২০ টাকায় চাকরি পাবো। ঘুষ ছাড়া চাকরি পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আমার বাবা একজন কৃষক। আমার এ চাকরিটি খুব দরকার ছিল। আশা করছি এখন আমি পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারবো। একই সঙ্গে দেশের সেবাও করবো।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের পদক্ষেপে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী স্বচ্ছতা ও সততার এ বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এসব মেধাবীকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ডেস্ক/বিডি
কপি করলে খবর আছে