ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে হাঁড়ি ভর্তি সোনা পাওয়া যাবে দুই লাখ টাকায় -এমন প্রলোভন দেখিয়ে মো. রুবেল মোল্লা (৪২) নামের প্রতারক এক পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব কালাইয়া নবরত্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। প্রতারক রুবেল ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার আব্দুর রব মোল্লার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাস আগে রুবেল মোল্লা কালাইয়া ইউনিয়নে আসে। সে নিজেকে বিশেষ ক্ষমতার মালিক দাবি করে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব কালাইয়া নবরত্ন গ্রামে এক বাড়িতে আত্মীয়ের সম্পর্ক তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই বাড়ির সদস্যদের বলেন, তার সঙ্গে ঝুমকা ও রতন মালা নামে দুই পরী থাকে। ওই পরী দিয়ে মাটির নিচের গুপ্তধন বের করে আনা সম্ভব। তাদের ঘরের মেঝের মাটির নিচে তিনটি হাঁড়ি আছে বলে দাবি করেন। প্রতি হাঁড়িতে তাকে দিতে হবে দুই লাখ টাকা।
বাড়ির সদস্য মুক্তা বেগম (২৫) বলেন, আমরা প্রতারক রুবেলকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিলে রাতের বেলা ঘর বন্ধ করে ঘরের মেঝের মাটি খুরে একটি মাটির হাঁড়ি বের করে, যার মধ্যে বেশ কিছু অলংকার দেখা যায়। অলংকারগুলো স্থানীয় একটি সোনা রুপার অলংকার তৈরির দোকানে নিয়ে গেলে সেগুলো দস্তার তৈরি বলে জানান স্বর্ণকার। তারপর প্রতারক রুবেলকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে একপর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পুলিশে খবর দিলে পুলিশ প্রতারক রুবেল মোল্লাকে আটক করে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতারক রুবেল এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এ ধরনের প্রতারণা করে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রুবেল মোল্লা বলেন, আমি মাত্র ২০ হাজার টাকা মুক্তাদের কাছ থেকে নিয়েছি।
সোনার অলংকার কিভাবে দেবেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মধ্যে অসীম শক্তি আছে। যার মাধ্যমে আমি হাঁড়ির এই গহনাগুলো সোনায় পরিণত করতে পারব। এই লোকগুলো আমাকে সেই সময় দিতে চায় না।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, প্রতারককে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতারিত পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
বিডি/ডেস্ক
কপি করলে খবর আছে