ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় ক্রয়কৃত জমির মালিককে কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ!

লেখক: মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মাধবপুরে নিজের ক্রয়কৃত জমিতে মাটি ভরাটসহ অন্যান্য কাজ করতে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে সৎ ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জমির মালিক ঐ গ্রামের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান দুলাল রুহিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, শামসুজ্জামান দুলাল ২০১৫ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের জেএল নং-১৯ এর এস.এ খতিয়ান নং-৮৪৭ ও ৮১৯ এর ৭১৭৬ নং দাগে ৬ শতক জমি ক্রয় করেন। পরবর্তিতে একই জেএলভুক্ত ৩৮১, ৮৫, ৭৬১, ৭৮৫,৭৪৭ নং খতিয়ানে, ২১৩৫ নং খারিজের ৭১৭৬ নং দাগেই আরও সাড়ে ৯ শতক সহ একই দাগে মোট সাড়ে ১৫ শতক জমি ক্রয় করে ঘেড়া-বেড়া দিয়ে, মাটি ভরাট করে ভোগদখল করে আসছেন। পরবর্তিতে গত ১০ এপ্রিল শামসুজ্জামান দুলালের সৎ ভাই একই গ্রামের মো: বাবুল ওরফে আনারুল (৪৫) ও হুমায়ুন কবির ডাবলু (৩৮) ঐ জমিতে মাটি ভরাট কাজে বাঁধা প্রদান করে।

আরও পড়ুন : হরিপুরে আগুনে ঘরবাড়ী পোড়া পরিবারগুলোর থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করলেন সুজন

এ বিষয়ে উভয় পক্ষ বিবাদ সৃষ্টি হলে সিভিল এ্যাডভোকেট আলতাফুর রহমান খানের চেম্বারে বসা হয়। সেখানে এ্যাডভোকেট উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে শামসুজ্জামান দুলালের পক্ষে জমির মালিকানার রায় প্রদান করেন।

এ অবস্থায় গত ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার শামসুজ্জামান দুলাল ঐ জমিতে কাজ করতে গেলে দেখতে পান তার সৎ ভাইয়েরা উল্লেখিত জমির বেড়া, পিলার ভেঙ্গে ফেলেছেন। নতুন করে শামসুজ্জামান দুলাল বেড়া দিতে গেলে তার সৎ ভাইয়েরা পুনরায় বাঁধা প্রদান করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ রুহিয়া থানায় অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ প্রদান করে।

এ বিষয়ে রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, যেহেতু ঈদের ২/৩ দিন বাকি সেহেতু ঈদের পর উভয় পক্ষকে ডাকা হবে। কাগজপত্র ও অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করে সুরাহার চেষ্টা করবো। তার পরও সমাধান না হলে বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।

ডেস্ক/বিডি/মজিবর

  • এ্যাডভোকেট
  • জমির মালিককে কাজে বাঁধা
  • মাটি ভরাট
  •    

    কপি করলে খবর আছে