ঠাকুরগাঁওয়ে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মাথার খুলি ভেঙ্গে হত্যা চেষ্টা, মূলহোতা আটক

লেখক: নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ঠাকুরগাঁওয়ে জমির আইল (বাধ) কাটাকে কেন্দ্র করে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মাথার হাড় ভেঙ্গে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। পরে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে, পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।

গত ১১ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের খড়িবাড়ী নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ১২ ডিসেম্বর রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন একই এলাকার মৃত পসারউদ্দিন সরকারের ছেলে হারুন অর রশিদ, তার ছেলে মো: মারুফ, মো: মিরাজ ও স্ত্রী মরজিনা প্রতিবেশি জাহাঙ্গীরের জমির আইল কেটে তাদের নিজ জমিতে ফেলছিলো। এসময় জাহাঙ্গীর বাঁধা দিতে গেলে তারা সকলে তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং এলোপাতারি মারধর করতে থাকে।

এসময় জাহাঙ্গীরকে বাঁচাতে তার স্ত্রী হালেমা খাতুন ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও বেদম প্রহার করে হারুনের পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে হারুনের হাতে থাকা মাটি কাটা কোদাল দিয়ে সজোরে জাহাঙ্গীরের মাথায় পর পর দুটি কোপ দেয় হারুন অর রশিদ। এতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জাহাঙ্গীর।পরে তাকে ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুহিয়া থানার এসআই আলিম জানান, মামলার প্রেক্ষিতে আসামীকে ধরতে অভিযান চালানো হয়, কিন্তু আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছিলো না। পরে তাদের মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে অবস্থান সনাক্ত করে মামলার ১ নং আসামী হারুন অর রশিদকে আটক করা হয়।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, বিষয়টি অত্যান্ত মর্মস্পর্শী। কোদাল দিয়ে এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে এতে আহত ব্যক্তির মাথার খুলির হাড় ভেঙ্গে গেছে। আমরা ঘটনা জানার পরপরই আইনী পদক্ষেপ নেই এবং মামলার মূল আসামীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করি। বাকি আসামীদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী ইকলিমা খাতুন মিনা বলেন, ভূক্তভোগী পরিবার নেহায়েতই গরীব হওয়ায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি মহল বেশ সোচ্চার ছিলো। আমরা বিষয়টি জানার পর তাদের পাশে গিয়ে দাড়াই এবং তাদের আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। এমনভাবে মাথায় আঘাত করা হয়েছে যে, মাথার খুলির হাড় পর্যন্ত ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে তার শরীরের একটি সাইড ( ডান হাত-পা) অবশ হয়ে গেছে, তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। প্রশাসন গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছে। আশাকরি ভূক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার পাবে।

বিডি/ডেস্ক

   

কপি করলে খবর আছে