ঠাকুরগাঁও রোড বাজারে চলছে অবৈধ ইমারত নির্মাণের মহোৎসব

লেখক: নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১ বছর আগে

ঠাকুরগাঁও পৌরসভাধীন ঠাকুরগাঁও রোড বাজারের ৬.৫৫ একর জমি এখন অবৈধ দখলদারদের কবলে। দখলে থাকা জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে বড় বড় বিল্ডিং-ইমারত, আবার কেউ কেউ অবৈধ দখলে রাখা জমিটি ভাড়া দিয়ে বছরের পর পর ধরে অর্থ উপার্জন করে চলেছেন।

আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছে না অবৈধ দখলদাররা। সেখানে পাল্লা দিয়ে চলছে ইমারত নির্মাণের মহোৎসব। এ বিষয়ে একাধিকবার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও সরকারি এ সম্পত্তি সম্পত্তি উদ্ধারে সরকারিভাবে নেওয়া হয়নি জোড়ালো কোনো পদক্ষেপ। ফলে অবৈধ দখলদাররা দিনের পর দিন বেপরোয়াভাবে সরকারি জমির উপর পাকা স্থাপনা, বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ করে চললেও সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে বড় বড় ইমারত নির্মানের বাস্তব চিত্র, তবে এ বিষয়ে কেউই কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রান্তিক চাষীরা তাদের শাক-সবজিসহ অন্যান্য খাদ্যশস্য বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারে এলেও বাজারের নির্ধারিত স্থান না থাকায় অন্যের দোকানের সামনে বসে ভাড়া দিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে সরকারি টোল ১০ টাকা এবং তোলা(বাজার পরিচ্ছন্নকারির) ৫টাকা, অর্থাৎ একজন প্রান্তিক কৃষক যদি তার খাদ্যশস্য বিক্রি করতে ঠাকুরগাঁও রোড বাজারে আসে তাহলে তাকে টোল/তোলা বাবদ ১৫ টাকা ছাড়াও বাড়তি গুণতে হচ্ছে বসার স্থানের টাকা। স্থান ভেদে এ ভাড়া প্রতিদিন ৫০টাকা থেকে শুরু করে ১৫০টাকা পর্যন্ত রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। হাটের জায়গা না পেয়ে রাস্তার উপর পণ্য বিক্রি করছে প্রান্তিক কৃষকেরা।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে নড়েচড়ে বসে পৌরসভা, তবে সরকারি এ জমি উদ্ধারে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযান না হওয়ায় হতাশ প্রান্তিক কৃষক সহ সাধারণ জনগণ।

এ বিষয়ে ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুদ্দৌলা সাহেব জানান, এ ওয়ার্ডের রোড বাজারে ৫টি দাগে ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত ৬.৫৫ একর জমি অবৈধ দখলে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে অবৈধ দখলদাররা। অবৈধ দখলে রাখা জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে বিশাল অংকের রাজস্ব। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের বার বার নিষেধ করা হয়েছে, অবৈধ দখল সড়িয়ে নিতে মাইকিং করা হয়েছে, কিন্তু ব্যবসায়ীরা কেউ কোনো কথা শুনছে না। তারা আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো স্থাপনা নির্মাণ করে চলেছে। আশাকরি জেলা প্রশাসন দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঠাকুরগাঁও রোড বাজারের কিছু জমি অবৈধভাবে দখলে রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে অনেকে। আমরা কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সত্যতা পেয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আশা করি অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিডি/ডেস্ক

  • অবৈধ ইমারত নির্মাণের মহোৎসব
  •    

    কপি করলে খবর আছে