নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই -ফখরুল

লেখক: বাংলা ২৪ ভয়েস ডেস্ক
প্রকাশ: ১ বছর আগে

নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোপচারিতায় বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া দেন।

শপথ নেওয়ার আগে মো. সাহাবুদ্দিন একাধিকবার গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার অবস্থান থেকে যতটা ভুমিকা পালন করার সেটা করবে বলেছেন … এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতটা ভুমিকা পালন তো আমরা জানি। আমরা তো সরকারে….। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার উনার (মো. সাহাবুদ্দিন) সুযোগও নাই। আর উনার সেই সাহস আছে বলে আমরা মনে করছি না আরকি। তার মানে আপনারা তার ওপর আস্থাশীল না- প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, তাতে বটেই। এটা তো পরিস্কার বলেছি আমরা….।

আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৫২ বছরে ২০জন রাষ্ট্রপতির বিদায় হয়েছিলো যেভাবে…

রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশাটা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা তো আমরা আগেই বলেছি যে, আমরা কিছুটা হতাশ হয়েছি- যে আমরা যাকে চিনি না, যাকে জাতি জানে না– এ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতেও পারব না। এই ধরনের একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে তাকে নিয়ে আসা- এটা আমাদের কাছে ডাজ নট ক্লিয়ার, আমরা খুব একটা পরিস্কার নই। সেজন্য সেই প্রত্যাশাটাও আমাদের কাছে অস্পষ্ট এবং একটা আবছা হয়ে যাচ্ছে-তাই না।

নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়ে কোনো কমেন্ট নেই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এবারকার রাষ্ট্রপতি নিয়োগটা কিছুটা আপনার জনগণের কাছে একটা হঠাৎ করে অপ্রত্যাশিত ভাবে এসেছে। আমি বর্তমানে যে রাষ্ট্রপতি শপথ নিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে তার সম্পর্কে আমি কোনো কমেন্ট করতে চাই না।

‘এটা, এই নামটা (মো. সাহাবুদ্দিন) জনগণের কাছে একেবারে আসেনি, পরিচিতও ছিলো না। ফলে এখানে একটা সংকট (চলমান সংকট) কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে একটা সন্দিহান, একটা প্রশ্ন আছে মানুষের কাছে… উনি কি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। পত্র-পত্রিকার তার যে ব্যাক গ্রাউন্ড দেখেছি… এটা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে বা দলের পক্ষ থেকে কোনো প্রশ্ন রাখিনি। কারণ আমাদের এখানে রাষ্ট্রপতি নিয়ে আগ্রহটা কম। আমরা মূল জায়গাটায় যেতে চেয়েছি.. আজকে নির্বাচন প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক নয়, নির্বাচনে আমরা বিরোধী যদি অংশগ্রহন করতে না পারি, একটা নিরপেক্ষ সরকার যদি না হয় তাহলে সব কিছু অর্থহীন হয়ে যাবে। সেইকারণে তার ওপর জোর দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পাবলিক অভিমত যতটুকু দেখেছি তাতে করে জনগন যে একটা আশস্ত হবে যে একটা আশা করবে, প্রত্যাশা করবে সেই ধরনের কোনো কিছু আমরা দেখিনি পত্র-পত্রিকায়। আজকে শপথ নেওয়ার পরে তিনি কী বলবেন সেটাও আমরা জানি না। কিন্তু ঘটনাগুলো যা ঘটেছে, যে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন তাতে করে পরিস্কার হয়ে গেছে জনগনের কাছে যে প্রক্রিয়ায় তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছেন তাতে করে একমাত্র সরকার প্রধান তারই তিনি(মো. সাহাবুদ্দিন) বেশি আস্থাভাজন।

আরও পড়ুন : ট্রলারে ভেসে আসা ১০ মরদেহের পরিচয় সনাক্ত; রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ!

‘কারণ যে পার্লামেন্টারি বোর্ড সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাকে (প্রধানমন্ত্রী) দিয়ে দেয়া হয়েছিলো। পত্র-পত্রিকায় যা দেখেছি যে, আওয়ামী লীগের সিনিয়র লীডার যারা আছেন তারা কেউ এই নিয়োগ বিষয়ে কিছু জানতেন না। এটা সম্পূর্ণ এককভাবে তিনিই (প্রধানমন্ত্রী) এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সংসদে সংখ্যাগরিষ্ট। তারা পারত সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে পারতো। সেটা তিনি (শেখ হাসিনা) করেননি। এখান থেকে বুঝা যায় যে, তার ও সরকারের ইচ্ছা একটাই যেভাবে হোক সমস্ত রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করে তারা আবারো আগামী নির্বাচন পার হতে চায়, আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতাকে দখলে রাখতে চায়। এটা আমাদের রিডিং, আমার ব্যক্তিগত রেডিং।’

আন্দোলন এখন বেগবান হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা দেখেছেন যে, আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, আমাদের এই আন্দোলনে অলরেডি ১৭ জন প্রাণ দিয়েছেন, আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আমাদের শত শত মানুষ এখনো কারাগারে আছে। দি মুভমেন্ট ইজ অন। মাঝখানে রোজা-রমজানের জন্য হয়ত… তারমধ্যেও কিন্তু আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করেছি। আপনারা দেখেছেন যে, এই কয়েকদিন আগে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি করেছি। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এখন মুভেমেন্ট আরো বেগবান হবে। সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করবে মুভমেন্টের ধরণ কি হবে, জনগনই সেটা সিদ্ধান্ত নেবে।

এ সময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

ডেস্ক/বিডি

  • নতুন রাষ্ট্রপতি
  • বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই
  •    

    কপি করলে খবর আছে