প্রতিবাদ দিয়ে সত্যকে আঁড়াল করতে চান ঠাকুরগাঁওয়ের ঢোলারহাট ইউপি সদস্য আ: রশিদ

লেখক: নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১ বছর আগে

সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ২১নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদে দুস্থ ও অসহায়দের কাবিটা প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো: আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ভূক্তভোগি স্থানীয় শ্রমিক আব্দুল গফুর, রাজ্জাক, আজিজুল ইসলাম, আইজুল, মকবুলসহ কয়েকজন টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন। 

সেখানে উল্লেখ করা হয়, ওই ইউনিয়নের ‘বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পশ্চিমে পাকা রাস্তা ভায়া বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রকাশ মাষ্টারের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার’ কাবিটা প্রকল্পের জন্য ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু নাম মাত্র কাজ করে ভুয়া শ্রমিকের মাষ্টাররোল তৈরী করে স্বাক্ষর নিয়ে প্রকল্পের প্রথম কিস্তি অর্থাৎ অর্ধেক টাকা উত্তোলন করেন আব্দুর রশিদ। অথচ উল্লেখিত প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছু শ্রমিককে ১৮ হাজার টাকা চুক্তি দিয়ে রাস্তার কাজ করান তিনি।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী কাবিটা প্রকল্পের টাকার পরিমাণ, প্রকল্পের নাম ইত্যাদি উল্লেখ করে সাইবোর্ড দেওয়ার কথা থাকলেও তা টাঙ্গানো হয়নি। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় চুক্তি অনুযায়ী কাজ না করে নাম মাত্র রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হয়, রাস্তায় শুধু ঘাস চেচিয়ে কাজ শেষ করেছেন আব্দুর রশিদ। কোন প্রকার খাল কিংবা রাস্তায় মাটি ভরাট করেননি। ইতিপূর্বেও আব্দুর রশিদ মেম্বার বিভিন্ন প্রকেল্পর কাজের সভাপতি হয়ে বহু টাকা আত্মসাত করেছেন উল্লেখ করে, কাবিটা প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়।

আরও পড়ুন : ৩য় বার ঠাকুরগাঁওয়ের শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন সদর থানার কামাল হোসেন 

ঘটনাটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ফলাও করে ছাপানো হয়। কিন্তু এ সত্য ঘটনাকে আঁড়াল করতে ও প্রকল্পের বাকি টাকা আত্মসাত করতে স্থানীয় একটি দৈনিকে প্রতিবাদ জানান অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আ: রশিদ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন ভূক্তভোগি শ্রমিকরা। তাদের দাবি সত্য ঘটনাকে আড়াল করতে এ প্রতিবাদ দেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নেওয়ার জোর দাবি জানান।

এদিকে প্রকল্পের সদস্য অনিমেশ, শিবচরনকে কাবিটার কাজের অনিয়ম বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কিছু জানেন না এবং সবকিছু আব্দুর রশিদ মেম্বার জানেন বলে জানান। প্রকল্পের সদস্য সচিব ঢোলারহাট ইউনিয়নের ১,২,৩ নং আসনের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য নেপালী বলেন, রাস্তার কাজ হয়েছে কিনা জানিনা; আমার জানামতে কাজ হয়নি। অনেকদিন আগে আমার কাছে কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছিল রশিদ মেম্বার।

তবে অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে ঢোলারহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: আব্দুর রশিদ বলেন, কাজ তো করেছি গত বছরের ডিসেম্বরে। পরিষদের মেম্বার ও চেয়ারম্যান সহ কাজ করেছি।

ঢোলারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বলেন, কাজ তো এখনও শেষ হয়নি। কাজের যে অংশটুকু বাকি আছে সেটা করবে। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে প্রকল্পের বাকি টাকা পেলে অসম্পুর্ন কাজটুকু করবে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি অবগত আছি। খুব শীঘ্রই বিষয়টি খতিয়ে দেখে কোন ধরনের অসংগতি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ডেস্ক/বিডি

  • ঢোলারহাট ইউপি সদস্য আ: রশিদ
  • সত্যকে আঁড়াল করতে চান
  •  

    কপি করলে খবর আছে