প্রশাসনে এবং দলে সুযোগ সন্ধানীরা রয়েছে, তাদের কারণে যাতে তদন্ত প্রভাবিত না হয়-নিম চন্দ্র ভৌমিক

লেখক: নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১ বছর আগে

প্রশাসনে এবং দলে সুযোগ সন্ধানীরা রয়েছে, এই সুযোগ সন্ধানীদের কারণে যাতে প্রতিমা ভাঙচুরের এ  ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত প্রভাবিত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডক্টর নিম চন্দ্র ভৌমিক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, যারা এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চায় না, এদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়-তাদের দোসররাই এ ঘটনায় জড়িত। নিম চন্দ্র বলেন, এর আগেও দূর্গা পুজার মন্ডপে কোরআন শরীফ রেখেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করেছিলো তারা, হলিআর্টিজেনে হামলা করা হয়েছিলো। এসবকিছু একই সুত্রের আভাস দেয়। বালিয়াডাঙ্গীর প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় যারা জড়িত, প্রকৃত অপরাধী-প্রশাসন তাদের দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকালে বালিয়াডাঙ্গীর সিন্দুর পিন্ডি মন্দির প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এক রাতের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা,পাড়িয়া ও চাড়োল ইউনিয়নের ১২টি মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতি ডক্টর নিম চন্দ্র ভৌমিক ছাড়াও বক্তব্য রাখেন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রুমেন মন্ডল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাদেক কুরাইশী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. অরুণাংশু দত্ত টিটো, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার প্রমুখ।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শাখার সভাপতি অপূর্ব কুমার রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা, অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি প্রবীর কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক প্রবীর গুপ্ত, দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা অ্যাড. সৈকত পাল, ধনতলা ইউপি চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জী সহ অন্যরা।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডি এলাকার আটটি, পাড়িয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার তিনটি ও চাড়োল ইউনিয়নের সাহবাজপুর নাথপাড়া এলাকার একটি মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

বিডি/ডেস্ক

  • প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সমাবেশ
  •  

    কপি করলে খবর আছে