চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা; প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৫

লেখক: মোঃ মামুনুর রশিদ, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

ঠাকুরগাঁওয়ে ভূল্লীতে পথচলার রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে ইটের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ২ জন নারী সহ ৫ জন। আহতরা বর্তমানে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতরা হলেন, সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের কেশুরবাড়ী মন্তার মিল হাজীপাড়া গ্রামের মৃত. কছির উদ্দীন ছেলে উসমান গনি, উসমান গনির স্ত্রী হাচিনা বেগম, বউমা শিরিন আক্তার ও ছেলে আব্দুল মান্নান এবং আব্দুল লতিফ।

মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ১১টায় সদর উপজেলার ভূল্লী থানার কিসমত কেশুরবাড়ী মন্তার মিল হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানান, পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে কবিরাজ উসমান গণি নিজ বসতবাড়ীর রাস্তা হিসেবে ভোগ দখল করে আসতেছিলেন। হঠাৎ করে ভাই শামসুল আলম জোরপূর্বক তা দখল করে রাস্তা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করেন। এ সময় রাস্তা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও নিজ জামাই, মেয়ে ও বেহাইকে নিয়ে প্রতিপক্ষ উসমান গণির পরিবারের উপর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে উসমান গনি ও ছেলে আব্দুল মান্নানের মাথা ফেটে জখম হয়। এ সময় গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে বোদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্বজনরা।

ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ জানান, আমাদের বাড়ীর যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে চাচা শামসুল আলম সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছিলেন। আমরা বাঁধা দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুয়ায়ী তারা আমাদের উপর লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ইতিপূর্বেও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা চালিয়েছিলো। আমরা চরম আতংকের মধ্যে আছি।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পনা অনুয়ায়ী শামসুল আলমের দুই জামাই মানিক, বেলাল ও তার ছেলে শামীম ও শামীমের শশুর এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে হঠাৎ করে হামলা চালায়। আমরা প্রশাসনের সহযোগীতা চাই এবং সুষ্ঠু বিচার চাই।

ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, জমি সংক্রান্ত মারামারির ঘটনায় সেখানে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেস্ক/বিডি/মামুন

  • প্রতিপক্ষের হামলা
  • রাস্তায় সীমানা প্রাচীর
  •    

    কপি করলে খবর আছে