ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়ায় গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু!

লেখক: বাংলা ২৪ ভয়েস ডেস্ক
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়ায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্বামীর সঙ্গে এক আটি শাক নিয়ে ঝগড়ায় স্ত্রী রত্না রানী (২৬)কে বেধরক মারপিট করলে ওই গৃহবধূ অভিমানে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামী অনিল সরকারের পরিবার জানালেও গৃহবধূ রত্নার পরিবারের দাবি বেধরক মারপিটে রত্না অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়-যাতে সকলে মনে করে রত্না বিষ পান করেছে। এদিকে রত্নার ১৬ মাস বয়সী সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে রত্নার মাতা-পিতা ও ভাই।এ ঘটনায় রত্নার ভাই পরিতোষ রায় জানান অনিল সরকার আমার বোনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন।আমরা ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলা দায়ের করবো।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: জিয়ারুল ইসলাম।

অভিযুক্ত অনিল সরকার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়ার মাঝগাও গ্রামের সতিশ সরকারের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, আড়াই বছর আগে সদর উপজেলার লাউথুতি গ্রামের জগদীশ রায়ের মেয়ে রত্না রানীর সঙ্গে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের মাঝগাও গ্রামের সতিশ সরকারের ছেলে অনিলের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য সংসারে ১৬ মাসের এক ছেলে সন্তান রয়েছে । সংসারজীবন চলাকালে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাক নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে একপর্যায়ে স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ মারধর করেন অনিল। এরপরে রাগে ও অভিমানে সবার অজান্তে রত্না বিষপান করেন। পরে স্থানীয়রা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরে রত্নাকে রংপুর মেডিকেলে রের্ফাড করে, পরে গত সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তবে রত্নার ভাই পরিতোষ রায় জানান, অনিল সরকার কারণে-অকারণে আমার বোনকে মারধর করতো।আমার বোন সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করে যেতো।ঘটনার দিন সামান্য এক আটি শাক নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া বাধে। এ ঘটনায় অনিল আমার বোনক বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে(সমস্ত শরীরে মারধরের চিহ্ন রয়েছে)। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়।আমরা জানতে পেরে তাকে সদর হাসপাতালে নেই।পরে সেখান থেকে রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আমার বোন। আমরা ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) জিয়ারুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ডেস্ক/বিডি

  • অস্বাভাবিক মৃত্যু
  • গৃহবধূ
  •    

    কপি করলে খবর আছে