ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ!

লেখক: বাংলা ২৪ ভয়েস ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর নকল করে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের নিমবাড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষীকান্ত রায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা‍‍’র স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক ঠাকুরগাঁও শাখা হতে ১৯১৪২৬৪৯৬৫৫ নং চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। শুধু চেক জালিয়াতিই নয়, অভিযোগ রয়েছে বর্তমান কমিটির সদস্যদের সাথে কোন ধরণের যোগাযোগ ছাড়াই মনগড়া একটি নতুন কমিটি গঠন করেছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত।

এছাড়াও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রে বলা হয় ঐ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে গেল রবিবার (৫ নভেম্বর) মনোনয়ন পত্র গ্রহণ ও মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জমা দিতে হবে। অথচ প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারনে এ বিষয়টি অভিভাবকরাও জানতে পারেনি।

এদিকে প্রধান শিক্ষক স্কুলের জমাকৃত টাকা আত্মসাৎ করলেও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যুত না থাকায় মাসের পর মাস গরমে সীমাহীন কষ্ট, অন্ধকার ক্লাসে অলস সময় কাটানো, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস বন্ধসহ নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।

আর স্কুলের সহকারি শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, কাউকে না জানিয়ে স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের জমাকৃত টাকা উত্তোলন করে হজম করেছেন প্রধান শিক্ষক। হয়তো এর আগেও টাকা তুলেছেন যা আমাদের অজানা। এ ছাড়া নিয়য়মের তোয়াক্কা না করে নতুন কমিটি গঠনের পায়তারা করছেন তিনি। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক লক্ষীকান্ত রায় টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সভাপতি সাথে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারনেই এসব কথা উঠেছে। আর নিয়ম মেনেই কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বাকি অভিযোগ বানোয়াট বলে দাবি তার।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার আগারওয়ালা জানান, বিদ্যালয়ের ফান্ডে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা ছিলো। প্রতিষ্ঠানের কাজে বেশকিছু টাকা উত্তোলন করার বিষয়টি সবাই অবগত হলেও ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন হয় জাল স্বাক্ষরে। পরে ব্যাংক মারফত জানা যায় প্রধান শিক্ষক টাকা উত্তোলন করেছেন। তবে এ টাকার হিসেব কাউকে অবগত করেননি প্রধান শিক্ষক। আমি মনে করি সেই টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন। যা প্রতারণার সামিল।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, চেক জালিয়াতি ও কমিটি গঠনের অনিয়ম বিষয়ে আমি অবগত নই। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করা হবে।

ডেস্ক/বিডি/এমআর

  • জাল করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ!
  •    

    কপি করলে খবর আছে