বালিয়াডাঙ্গীতে পুকুরের মাছ চুরির অভিযোগে যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন !

লেখক: নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২ years ago

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চরকডাঙ্গী গ্রামে একটি ভাড়া নেওয়া পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে ফইজুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুকুর মালিক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার ভোর রাতে বালিয়াডাঙ্গীর দুওসুও ইউনিয়নের চরকডাঙ্গীতে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ফইজুল ইসলাম একই এলাকার আমতলা গ্রামের মফিজউদ্দীনের ছেলে এবং অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক মহিষমারী গ্রামের আলিমউদ্দীনের ছেলে।

জানা গেছে, আমতলা গ্রামের ফইজুল ইসলামকে মধ্য রাতে পুকুরে মাছ চুরির করার সময় হাতেনাতে আটক করে মহিষমারী গ্রামের পুকুরের মালিক আব্দুর রাজ্জাক। ফয়জুলকে আটক করার পরে রাজ্জাক ফইজুল ইসলামের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর ও এলোপাতাড়ি কাটা ছেঁড়া করে, ফয়জুল মারধরের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে রাজ্জাক পুকুরের কিছুদূর পূর্বে আমতলা গ্রামের লাবলু প্রফেসরের ইট ভাটায় নিয়ে গিয়ে তাকে বসিয়ে রাখে।

ভোররাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে ভাড়া নেওয়া পুকুর মালিক রাজ্জাকের কাছে ঘটনার বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন আমার পুকুরে বেশ কয়েকবার মাছ চুরি হলে প্রতিদিনের মতো আজ মধ্যরাতে পাহাড়া দিতে গিয়ে দেখতে পাই পুকুরে ৩/৪জন মিলে জাল দিয়ে মাছ ধরছে, আমি তাদেরকে ধরার জন্য ধাওয়া করলে ২/৩জন পালিয়ে গেলেও ১জনকে মাছ মারা জাল সহ আটক করে ধরে নিয়ে আসি।

আটককৃত ফইজুলের কাছে মাছ চুরির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, ফইজুল জানায় সে আজকেই শুধু মাছ ধরতে এসেছিল, তারসাথে আরও ৩জন মাছ চুরির সাথে জড়িত ছিল।

আমতলা গ্রামের লাভলু প্রফেসরের ইট ভাটার পাহারাদার আমতলা গ্রামের সাহেব আলী বলেন, আনুমানিক প্রায় রাত ২টার পর আব্দুর রাজ্জাক তার মোটরসাইকেলটি ভাটায় রেখে দিয়ে হেঁটে তার ভাড়া পুকুরটিতে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পরে ফইজুল নামের এক ছেলেকে ধরে নিয়ে আসে।পরবর্তীতে আনুমানিক ভোর ৫টায় রাজ্জাকের বাবা আলিমউদ্দীন অরফে বৈশাখু ইটভাটায় আসে। এসময় আটক ফয়জুলের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন দেখলে সেখান হতে রাজ্জাক ও রাজ্জাকের বাবা আলিমউদ্দিন মিলে ফয়জুলকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে নিয়ে চলে যায়।

পরে স্থানীয় দুওসুও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে খবর দেয় রাজ্জাক এবং ইউপি সদস্যের পরামর্শে বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ইউপি সদস্য রফিকুুল ইসলাম জানান, ফইজুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঁটা-ছেঁড়া দেখে আমি তাৎক্ষনিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করাই। তা না হলে ছেলেটির রক্তক্ষরনের ফলে মৃত্যুর আশংকা ছিল।

এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল আনাম ডন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিডি/ডেস্ক

  • মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন !
  •    

    কপি করলে খবর আছে