অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে নারীরাই

লেখক: বাংলা ২৪ ভয়েস ডেস্ক
প্রকাশ: ২ years ago

নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলধারায় অংশগ্রহণ করাতে পারলে নারীরাই অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে বলে মনে করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের বোর্ড অফ ট্রাস্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা শহীদ।

শুক্রবার রাজধানীর প্রগতি সরণির কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। এ আয়োজনের অফিশিয়াল ক্লাব পার্টনার ছিল সিইউবি ইংলিশ ক্লাব।

ইভোলিউশন থ্রি সিক্সটি ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রজেক্ট চেঞ্জমেকারের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এই আয়োজনের স্লোগান ছিল, ‘এসো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখি, নারী সহিংসতা রোধ করি’।

আঞ্জুমান আরা শহীদ বলেন, “আমরা যদি নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধ করতে পারি, এই বছরের নারী দিবসের স্লোগান ‘ব্রেক দ্য বায়াস’কে অনুসরণ করে নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলধারায় অংশগ্রহণ করাতে পারি, তাহলে নারীরাই ‘ড্রাইভারস অফ দ্য ইকোনমি’ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।”

তিনি বলেন, ‘চেঞ্জমেকার বলতে আমরা বুঝি আমাদের যুব সমাজকে যারা আজকের এবং আগামীর সমাজকে আশানুরূপভাবে পরিবর্তন করতে পারবে; এমন একটি পৃথিবী সৃষ্টি করা যেখানে নারী-পুরুষ সমঅধিকার থাকবে।’

জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে বিশ্বব্যাপী পরিচয় পাওয়া ১৬ বছরের সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তাকে নিউ ফেস অফ ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিজম বলা হচ্ছে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা যারা ছাত্র বয়স কম, যারা ভাবছ এখনও করার কিছু হয়নি, ব্যাপারটা সে রকম না। কেউ যদি চায় সে সমাজের জন্য, দেশের জন্য, সমগ্র বিশ্বের জন্য করবে, সে ১৬ বছর বয়সেই অনেক কিছু করতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে আঞ্জুমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন মারা গেলেন, তখন উনি দুই সন্তানের জননী, একজন সাধারণ গৃহিণী ছিলেন। উনি কখনই ভাবেননি ওনার বাবা ও বড় দুই ভাই মারা যাবেন, এই দেশের জন্য তাকে কিছু করতে হবে। যখন সময় হয়েছে, তখন তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টির সিনিয়র অ্যাডভাইজার অধ্যাপক এইচ এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সহিংসতা যদি না থাকত, তাহলে এই অনুষ্ঠান করার প্রয়োজন ছিল না। নারীরা মায়ের জাতি, তাদের সম্মান করা আমাদের দায়িত্ব।’

নারীরা যে কত চাপ সহ্য করে, তা সবাই বোঝে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানসিকতা ঠিক না হলে সহিংসতা কখনও দূর হবে না।’শুধু নারীর প্রতি নয়, সবার প্রতি সহনশীল হওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন জহিরুল।

নারীরা দিনে ১৮ ঘণ্টায় ৪৫ ধরনের কাজ করে জানিয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাহেদ হাসান বলেন, ‘সেই স্বীকৃতি রাষ্ট্রীয়ভাবে পায় না, পরিবারও স্বীকৃতি দেয় না। আমাদের জিডিপিতে তাদের অবদান অন্তর্ভুক্ত না।’

উইমেন ইন্সপায়ার হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর কামরুন নাহার ডানা।

২০১৬ সালে গঠিত হওয়া ‘ইভোলিউশন থি সিক্সটি’ সংগঠনটি মূলত যুব সমাজের উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনিকা সুবাহা আহমেদ উপমা বর্তমানে কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশ বিভাগের প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।সারা দেশে প্রায় ৫০০-এর বেশি স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন সংগঠনটির, যারা মূলত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি ফাইভ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

ডেস্ক/বিডি

  • অর্থনীতির চালিকাশক্তি
  •    

    কপি করলে খবর আছে