ঠাকুরগাঁওয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ!

লেখক: নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পাকা রাস্তা সংস্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আমিনুল হক প্রাইভেট লি: নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তবে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাস্তা সংষ্কারের এ কাজগুলি করছে স্থানীয় এক ঠিকাদার।

সুত্র জানায়, ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি রাস্তার মধ্যে একটির সংষ্কার কাজ চলমান রয়েছে এবং অপরটি চালুর পথে। সড়কগুলির মধ্যে একটি ঠাকুরগাঁও-গড়েয়া রোড, যার দৈর্ঘ্য ১৮শ মিটার এবং নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। অপরটির ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ রোড। যার দৈর্ঘ্য ৩৬শ মিটার এবং দুই প্যাকেজে (ভিন্ন ভিন্ন স্থানে) নির্মান কাজে ব্যায় ধরা হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। কাজের দরপত্র বরাদ্দে এসব সড়কের সংষ্কার কাজে দেশীয় বিটুমিন ব্যবহারের নির্দেশ থাকলেও তার পরিবর্তে ইরানি বিটুমিন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও নির্মান কাজে চিপ পাথর ব্যবহারের নির্দেশ থাকলেও তার পরিবর্তে মান হীন পাথর এবং কার্পেটিং কাজে ৩/৪ ইঞ্চি সাইজের ভাঙ্গা পাথর ব্যবহারের কথা থাকলেও সেখানেও মানহীন পাথরের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

সম্প্রতি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঠাকুরগাঁও গড়েয়া রাস্তার কাজ করছিলেন স্থানীয় ঠিকাদার জামালের লোকেরা। এ সময় তারা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার সহ কার্পেটিং না করেই সিলকোড করায় স্থানীয় জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে সে কাজ বন্ধ করে দেয়।
মজিবর রহমান নামের স্থানীয় এক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও আমাদের এ রাস্তার কাজ বার বার হয়েছে। প্রতিবারই আমাদের বোকা বানিয়ে ভেজাল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এবারো দেখছি এর পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তাই আমরা রাস্তার সংষ্কার কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।

গোবিন্দ রায় নামের আরেক ব্যাক্তি জানান, আমরা জেনেছি এ রাস্তার সংষ্কার কাজে ঠিকাদার নানা অনিয়ম করছে। তিনি বিটুমিন এবং চিপ পাথরে বড় ধরনের পরিবর্তন করেছেন। সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের এসব অনিয়মের তদারকি করা উচিৎ।

এছাড়াও ঠিকাদারি ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে আসে। এভাবে দায়সারাভাবে কাজ করে সরকারের টাকা নষ্ট করা এবং মানসম্মত কাজ না করার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কেউ।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ রোডের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক জানান, কাচামালের বিষয়ে আমরা তদারকি করবো। যদি কোন ধরনের ভেজাল মাল পেয়ে থাকি তবে সেসব পরিবর্তন করেই ঠিকাদারকে কাজ করতে হবে। তবে আমার জানামতে কাচা মালের গুণগত মান শতভাগ সঠিক রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম জানান, আমাদের দেশীয় বিটুমিন দিয়েই কাজ হবে এবং অন্যান্য কাচা মালের ক্ষেত্রেও আমরা স্টান্ডার্ড বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
বিডি/ডেস্ক/বাপ্পী
  • সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়ম
  •    

    কপি করলে খবর আছে