ধর্ষণ মামলা থেকে নির্দোষী খালাস পেলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় ও পরিষদের হিসাব সহকারি মো: ইব্রাহীম। গত ১৬ জুলাই তাদের দুজনকেই নির্দোষী খালাস প্রদান করেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের ঝাড়ুদার উরুফা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় ও হিসাব সহকারি মো: ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর সংশোধিত ২০০৩ এর ৯১ে)/৯(৪) (খ) উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। দীর্ঘশুনানী শেষে গত ১৬ জুলাই তাদের নির্দোষী খালাস প্রদান করে এ রায় প্রদান করেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের একজন দরিদ্র নারী (৩৫) ২১নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদে ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই। চেয়ারম্যান ও হিসাব সহকারী ইব্রাহিম আলী বিভিন্ন সময়ে ওই নারীকে উত্যক্ত করত। গত মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে চেয়ারম্যানের অফিস রুমের বাথরুম পরিস্কার করতে যায় ওই নারী। এসময় চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বাথরুমে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী কাঁদতে কাঁদতে হিসাব সহকারী ইব্রাহিম আলীর রুমে গিয়ে তাকে অভিযোগ দিলে সে ঘটনা ফাঁস না করতে ভয়ভীতি দেখায় এবং সেও ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ধর্ষণের স্বীকার সেই নারী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিতি দেখিয়ে মামলা করতে বারন করেন চেয়ারম্যানসহ সেই হিসাব সহকারী।
এ বিষয়ে ২১নং ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচনে জয় লাভের পর থেকে একটি কূচক্রী মহল আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে উঠে পড়ে লাগে। ধারাবাহিকতায় আমাকে ফাঁসাতে এমন ঘৃন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করে। তবে তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে আদালত সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছে-এজন্য আমি আমার এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, তাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আজ আমি কলঙ্কমুক্ত হলাম। সামনের দিনগুলোতে এলাকার উন্নয়নে তাঁর সর্বাত্মক ভূমিকা থাকবে বলেও জানান তিনি।
ডেস্ক/বিডি
কপি করলে খবর আছে