ইটভাটায় যাচ্ছে ফসলি জমির মাটি !

লেখক: বাংলা ২৪ ভয়েস ডেস্ক
প্রকাশ: ১ বছর আগে

চারদিকে বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার ও মাঠের পর মাঠে চাষ হচ্ছে ধান, সরিষা, ডালসহ বিভিন্ন শস্য। এর মধ্যেই বিবিসিকো নামে একটি ইটভাটার অবস্থান। এ ইটভাটার জন্য জোরজবরদস্তি করে তিনফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ইটভাটার মালিক আ. হান্নান মৃধা―এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিন বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রাম ঘুরে দেখো গেছে, দূর থেকে দেখা যায় ফসলি জমি। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখা যায় ফসলি জমির মধ্যে ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের পুকুর। পাশেই পড়ে রয়েছে একটি ভেকু মেশিন। ওই ভেকু দিয়েই বিবিসিকো ইটভাটার মালিক জোরপূর্বক জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত ও গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শুধু রাতে না, দিনেদুপুরেও কৃষকদের কৃষিজমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিচ্ছেন এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু হান্নান মৃধা। প্রতিবাদ করলে মারধর ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।

আরও পড়ুন : ৯৯৯-এ কল করে যৌনপল্লী থেকে নিজেকে বাঁচালো তরুণী

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক পক্ষিবিবির পুত্র মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের ফসলি জমির মাটি এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও বিবিসিকো ইটভাটার মালিক হান্নান মৃধা কেটে নিয়ে গেছে। আমি পুলিশ এনে মাটি কাটা বন্ধ করেছি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিবিসিকো ইটভাটাটি পরিচালনা করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। ইটভাটায় ট্রাক্টর দিয়ে মাটি টানা ও ইট টানার কারণে গ্রামের কাঁচা ও পাকা সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যা এখন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার বলেন, জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনেকবার অভিযোগ করা হয়েছে; কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনো গ্রহণ করা হয়নি।

অভিযুক্ত বিবিসিকো ইটভাটার মালিক আ. হান্নান মৃধা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কারো জমির মাটি জোরপূর্বক কাটিনি। আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমির মাটি কেটেছি।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘জোরপূর্বক ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ পাঠিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করেছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেস্ক/বিডি

  • ইটভাটা
  • ফসলি জমির মাটি
  •    

    কপি করলে খবর আছে